Photo: Bandarban, 2023
এক,
– যে সন্ধা-নামা শুরু হয়েছিল বছর পাঁচেক আগে
সে সন্ধ্যা নামলো আজ পাহাড় ঘেসে।
চাঁদকে নিয়ে রোয়াংছরির পাহাড়ে বসেছিল চাঁদের হাট
সঙ্গী ছিল অগন্তক মানুষ, তারা, ফানুস, উড়ে যাওয়া জাহাজ কতক।
এই চাঁদটা সেই চাঁদ
যার ছুয়ে দিতাম অনুভূতি,
অনুভূতিরাও পেলো শেষে
স্পর্সের প্রতিধ্বনী।
শব্দ ছোয়া ঠোঁটগুলো সবই
হঠাৎ নিল শব্দ-ছুটি,
সন্ধ্যার মাঝে ডুবল কেবল
অনুভূতি আর কামনার দল।
[স্লাপা ক্লাং( স্লাপা/চাঁদ- ক্লাং/পাহাড়)]
দুই,
– যা জন্মে,
তা বেঁচে থাকে কোন এক রূপে।
মৃত নদী,
জেগে থাকে শীতের শেষে যে ভাবে।
পৃথিবী আলতো আদরে
কিছু কামনা রাখে লুকিয়ে,
সময়ের চোখ ধরে
ভিরিয়ে দেয় তা আবেগের বন্দরে।
পাহাড়ে সন্ধ্যা নামে সুখ-তারা সাঙ্গ করে,
পাহাড়ে নির্যনতা থাকে তক্ষকের আশেপাশে,
পাহাড়ে পাহাড় থাকে নিজেকে ভুলে আকাশের দিকে তাকিয়ে,
পাহাড়ে আকাশ থাকে পাহাড়ি আকাশ হয়ে।
তোমার জন্য জন্ম নেয়া প্রেম-কামনা
পৃথিবী আলতো আদরে রেখেছিল গোপনে।
সময়ের চোখ ধরে সুখ-তারা সাঙ্গ করে,
পাহাড়ি নির্যনতায় ভিরিয়ে দিয়েছে তা
তক্ষকের পাশ পাহাড়ি আকাশতলে।
তিন,
– দীর্ঘ রাত্রি
ছায়াদের পিছু পিছু হেটে যায়
তুমি অবধি।
—ইসতিয়াক
বান্দরবান, নভেম্বর, ২০২৩|